ড. কামাল হোসেন বঙ্গবন্ধুর সাথে বেঈমানী করেছেন ……….কাপাসিয়ায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম
সাইদুল ইসলাম রনি, কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি: আজকের কামাল হোসেনকে কামাল বানিয়েছেন আওয়ামীলীগ। সে আজ বঙ্গবন্ধুর সাথে বেঈমানী করেছেন। কিলার, আত্বস্বীকৃত খুনীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছেন। বিএনপি নির্বাচনে না এলে জনবিছিন্ন হয়ে পরবে।
শনিবার বিকাল ৪টায় গাজীপুরের কাপাসিয়ায় সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন নার্সিং কলেজের উদ্বোধনী মঞ্চে বক্তব্য দিতে গিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেন একজন তরুণ ব্যারিষ্টার ছিলেন। বঙ্গবন্ধু তাকে ডেকে এনে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। আজ সে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পক্ষ নিয়েছেন।
তিনি বলেন কাপাসিয়ায় রিমি, সোহেল তাজ থাকতে আরো কোনো নেতার দরকার আছে কি? হঠাৎ করে আসা নেতারা এখানে এসে কি করবে বলে সূধীদের উদ্দেশ্য প্রশ্ন ছুড়ে দেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি’র সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ, অতিরিক্ত সচিব বদরুন নেছা, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তন্দ্রা সিকদার, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম এ মোহী, গাজীপুর জেলা প্রসাশক ড. দেওয়ান মোহাম্মাদ হুমায়ূন কবীর, গাজীপুর পুলিশ সুপার শামসুন্নার, কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসমত আরা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুস সালাম সরকার, আবদুর রহিম,অধ্যক্ষ মধুসুদন চক্রবতী, ওসি আবু বকর সিদ্দিক, নার্সিং অফিসার নাজমা সুলতানা প্রমুখ।
তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে আমরা উৎসব করব। উদ্বোধনী মঞ্চে উপবিষ্ট সাংসদ, অতিরিক্ত সচিব, মহাপরিচালক, পুলিশ সুপার, ইউএনও সকলেই নারী। নারী পুরুষের সমতায় এটা শেখ হাসিনার অবদান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. আবদুস সালাম সরকার জানান, এটি বাংলাদেশের চতুর্থতম সরকারি নার্র্সিং ইনস্টিটিউট। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে পদবী ভিত্তিক কর্মরত নার্সগণ উন্নত পেশাগত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহন করতে এ ইনস্টিটিউটে ভর্তি হতে পারবেন। এছাড়া মোট আসনের পাঁচভাগ নার্সিং ডিপ্লোমাধারী শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্ধ থাকবে। আগামী ২০১৮/১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে পঠন পাঠন কার্যক্রম চলবে।
নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ মধুসুদন চক্রবর্তী বলেন, এ ইনস্টিটিউটে প্রতি শিক্ষা বর্ষে একশ ২০টি আসন সংরক্ষিত রয়েছে। একজন অধ্যক্ষসহ মোট পাঁচজন শিক্ষক পাঠদান কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছেন। ২২ কোটি ৩৩ লাখ ২ হাজার টাকা ব্যায়ে কলেজটি নির্মাণ করা হয়। ২০০১ সাল থেকে এটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ভবন সম্প্রসারণ কাজ এখনুুও চলছে।
Comments are Closed