রিমির পক্ষে ভোট চাইলেন সোহেল তাজ
আমাদেরগাজীপুর ডেস্ক: গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বোন সিমিন হোসেনের (রিমি) নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। তিনি নৌকা প্রতীকে সবার কাছে ভোট চেয়েছেন।
গত বুধবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার টোক ইউনিয়নের সরযুবালা, নয়াসাংগুন, উলুসারা, টোক নগর, বড়চালা, উজলী দীঘিরপাড়, বারিষাব ইউনিয়নের দামুয়ার চালা, সরকার টেক, নরোত্তমপুর, দুলালপুরে নির্বাচনী প্রচারণায় বোনের সঙ্গে ছিলেন সোহেল তাজ। টোক ইউনিয়নের সরযুবালা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে পূর্বনির্ধারিত নির্বাচনী পথসভায় তিনি বক্তব্য দেন।
নির্বাচিত হলে আগামীতেও সিমিন হোসেন মানুষের জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করবেন জানিয়ে সোহেল তাজ বলেন, ‘আপনারা আমার বোনের জন্য দোয়া করবেন, যেন আরও ভালো কাজ করতে পারেন। তাঁকে আপনারা ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন।’
এই আসনে দুইবারের সংসদ সদস্য ছিলেন সোহেল তাজ। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে তিনি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন। কিন্তু কিছুদিন পরই প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান। একপর্যায়ে সংসদ সদস্যের পদ থেকেও পদত্যাগ করেন। রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। সেই থেকে আসনটিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন সিমিন হোসেন।
বিগত নির্বাচনগুলোতে বোনের পাশে থেকে সাধারণ মানুষের কাছে ভোট চাইতে দেখা গেছে সোহেল তাজকে। নির্বাচনী পথসভায় তিনি বলেন, ‘রাজনীতি করতে হবে মানুষের জন্য। আমাদের পরিবার, তাজউদ্দীন আহমদ, জোহরা তাজউদ্দীন আহমদ সেই শিক্ষাই দিয়েছে। আমার বোন সিমিন হোসেন রিমি সেই শিক্ষা ও বিশ্বাস ধারণ করেই কাজ করেছেন।’
দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট চান সিমিন হোসেন। টোক সরযুবালা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে পথসভায় তিনি বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন ও দেশের চলমান উন্নয়নকে আরও এগিয়ে নিতে নৌকা প্রতীকে ভোট দিন। নৌকা জনগণের প্রতীক, নৌকা উন্নয়নের প্রতীক, নৌকা শান্তির প্রতীক।’
টোক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এম এ জলিলের সভাপতিত্বে এ পথসভায় আরও বক্তব্য দেন কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমানত হোসেন খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাজহারুল ইসলাম সেলিম, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন সেলিম প্রমুখ।
এবার আসনটিতে নৌকার প্রার্থী সিমিন হোসেনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হয়েছেন তাঁর ফুফাতো ভাই আলম আহমেদও। কিন্তু আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। ঋণ খেলাপের দায়ে তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়েছিল। পরে হাইকোর্টের আপিল বিভাগের মাধ্যমে ১৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা ফিরে পান। তবে আপিল বিভাগের এই আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেছেন সিমিন হোসেন।
গাজীপুর-৪ আসনে অন্য প্রার্থীরা হলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মাসুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) সারোয়ার ই কায়নাত, জাতীয় পার্টির মো. শামসুদ্দীন খান, স্বতন্ত্র শামসুল হক, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আব্দুর রউফ খান।
Comments are Closed