সাজিদের মরদেহ দেখতে ভালুকা পাইলট স্কুলে গন মানুষের ঢল
মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক,বিশেষ প্রতিনিধি ঃ মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক ভাবে নিহত ভালুকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী নাফিউল আলম পাঠান সাজিদ কে শেষ বারের মতো এক নজর দেখতে গন মানুষের ঢল নামে ভালুকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে।
সন্ধার পর তার মরদেহ ময়মনসিংহ হাসপাতাল থেকে এ্যাম্বুল্যান্স যোগে সরাসরি নিয়ে আসা হয় সাজিদের প্রিয় বিদ্যাপিঠে। তার আগে থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ শত শত লোকজন উৎসুক হয়ে অপেক্ষা করতে থাকে। সন্ধার পর মরদেহ নিয়ে এ্যাম্বুল্যান্সটি মাঠে এসে পৌঁছতেই আশপাশের বাসা-বাড়ী থেকে নারী-পুরুষের ঢল নামতে শুরু করে। মুহুর্তের মধ্যেই মাঠে হাজারো জনতার ভীড় লেগে যায়।
সাজিদের সহপাঠিরা প্রানপন চেষ্টা চালিয়ে ভীড় ঠেকাতে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে। মানব প্রাচীর তৈরী করে সবাইকে এক নজর দেখার সুযোগ তৈরী করে দেয়। এক পর্যায়ে জন দাবীর মুখে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মরদেহটি এ্যাম্বুল্যান্স থেকে নামিয়ে অফিসের সামনে রাখে। একে একে আবাল বৃদ্ধবনিতা সজল চোখে এক নজর দেখতে এগিয়ে আসে।
সহপাঠিরা কান্নায় বেঙ্গে পড়ে। মাইকে ঘোষনা দিয়ে সবাইকে শৃংখলিত করে প্রধান শিক্ষক মোঃ আশেক উল্লা চৌধুরী। শিক্ষকদের চোখও তখন পানিতে ছল ছল। স্বজনদের আহাজারি আর শুভাকাংখীদের আবেগাশ্রুতে বাতাস ভারী হয়ে স্কুল মাঠের । সুন্দর ও সুঠাম দেহের অধিকারীর নিথর নিস্তব্ধ ঘুমিয়ে থাকা যেন মানতে পারছিলনা কেউ।
তারপরও দুর্ঘটনা। নিয়তির নির্মমতায় হতবাক সবাই। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আশেক উল্লাহ চৌধুরী জানান বুধবার বেলা ১১টায় প্রথম নামাজে জানাজা ভালুকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সম্পন্ন হবে। তারপর পারিবারিক ভাবে নিজ এলাকা উপজেলার খারুয়ালী গ্রামে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরে ভালুকার পার্শ্ববর্তী ত্রিশাল উপজেলার বগার বাজার এলাকায় ভালুকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী উপজেলার খারুয়ালী গ্রামের মাহাবুবুল আলম পাঠান ওরফে তারু পাঠানের ছেলে মোটর সাইকেল যোগে ত্রিশালের গুজিয়াম এলাকায় আতœীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়।
Comments are Closed