Main Menu

নতুন ‘গোল মেশিন’ এসেছে ফুটবলে

দেশের ফুটবলে এসেছেন নতুন এক ‘গোল মেশিন’।

শিরোনাম দেখে যেমন অবাক হওয়ার কিছু নেই, ভুল ধরার লোকও হয়তো পাওয়া যাবে না। প্রিমিয়ার লিগে এ নিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে পাঁচ গোল করেছেন তৌহিদুল আলম সবুজ—এই শিরোনাম তো তৌহিদের নামের পাশেই খাটে। রহমতগঞ্জের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ে চট্টগ্রাম আবাহনীর অন্য গোলটি জাহিদ হোসেনের।
তৌহিদের গোলের সঙ্গে আরেকটি বিষয়ও ধ্রুব হয়ে উঠেছে। প্রত্যেক ম্যাচে জয়ও পেয়েছে তাঁর দল চট্টগ্রাম আবাহনীও। টানা পাঁচ জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষেও তারা। সমানসংখ্যক ম্যাচে দুই জয়, এক ড্র ও দুই হারে রহমতগঞ্জের পয়েন্ট ৭।
গত লিগে মোট আট গোল করেছিলেন তৌহিদ। এর মাঝে টানা তিন ম্যাচে ছিল গোল। এবার টানা পাঁচ গোল করে সেটা ছাপিয়ে গেলেন। মহেশখালীর ছেলে যেন গোলের ঘ্রাণ শুঁকতে পাচ্ছেন। ৪৩ মিনিটে করা আজকের গোলটিতে প্রথমে দূরের পোস্টে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু ডান প্রান্ত থেকে জাহিদ ক্রস নেওয়ার সময় প্রতিপক্ষ রাইটব্যাক মোজাম্মেল হোসেন ও সেন্টারব্যাক মানডের ফাঁক গলে পৌঁছে গেলেন কাছের পোস্টে। জাহিদের ক্রসটি সবুজের পায়ের ওপর এসে পড়তেই নিখুঁত প্লেসিং, গোল।

খাতা-কলমে বাংলাদেশের পেশাদার ফুটবল পেরিয়েছে নয় মৌসুম। টানা চার ম্যাচে গোল করার রেকর্ডই নেই কোনো দেশি ফুটবলারের । সেখানে টানা পাঁচ ম্যাচে গোল। রহস্য কী? ‘এর পেছনে কোনো রহস্য নেই। পরিশ্রম করছি, ফল পাচ্ছি। গোল করতে হবে, এ চিন্তা নিয়ে মাঠে নামি। পাচ্ছিও গোল।’ ম্যাচ শেষে তৌহিদের সাদামাটা উত্তর। এ গোলে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতাও এখন চট্টগ্রাম আবাহনী স্ট্রাইকার।

সবুজকে দিয়ে প্রথম গোলটি করিয়েই দায়িত্ব সারেননি জাহিদ। পেনাল্টি থেকে গোল করে প্রিমিয়ার লিগে নিজের খাতা খুলেছেন উইঙ্গার জাহিদ হোসেন । পেনাল্টিটা এসেছে তাঁর কল্যাণেই। জাহিদের আলতো ক্রস বক্সে শরিফুল ইসলাম হাত দিয়ে ঠেকালে পেনাল্টি পায় আবাহনী। স্পট কিক থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে ভুল করেননি। তবু একটি গোল করে এবং অন্যটিতে অবদান রেখেও জাহিদ ম্লান হয়ে গেছেন টানা পাঁচ গোল করা তৌহিদের কাছে।

স্ট্রাইকার তৌহিদ আগেও আলোচনায় এসেছেন। কিন্তু জাতীয় দলে বরাবরই উপেক্ষিত তিনি। বাংলাদেশের জার্সিতে তাঁর অভিষেক হয় ২০১০ সালে ঢাকায় এসএ গেমসে। যদিও সেই দলটির পোশাকি নাম ছিল অনূর্ধ্ব-২৩ দল। টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে তাঁর গোলেই ফাইনাল নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। ফাইনালে আফগানিস্তানের বিপক্ষেও ছিল তাঁর গোল। পরবর্তী সময়ে দুই বছর জাতীয় দলে খেললেও অনিয়মিত হয়ে পড়েন। লোডভিক ডি ক্রুইফের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রাথমিক দলে থাকলেও চূড়ান্ত দলে আর জায়গা হয়নি। যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন, তাঁকে আর এবার বাদ দেয় কে?






Comments are Closed