ঢাকা উত্তরের বিশাল হাট – কাপাসিয়ার আমরাইদ বাজার পশুর হাট
কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি (সাইদুল ইসলাম রনি): কোরবানী পশু ক্রয় বিক্রয়ের জন্য গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা আমরাইদ বাজার ঢাকা উত্তরের সবচেয়ে বড় বাজার বলে চাউর রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, এ বাজারটি প্রায় কোটি টাকায় ইজারা নিয়েছেন স্থানীয় মো. জাহাঙ্গীর আলম। পক্ষকাল ব্যাপী এ হাটে অভিরাম পশু কেনাবেচা চলছে।ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত কেনা বেঁচা চলবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি বছরের মতো ঢাকা কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক ঘেঁষে কাপাসিয়ার আমরাইদে কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন সড়কের পশ্চিম পাশ থেকে শুরু হয় পশুর হাটটি। এই বৃহত হাটে গরু, ছাগল, ভেরা, মহিষে ভরপুর থাকে। কাওকে না কাওকে গরু হাটে দেখা যায়। মহিষ ও ছাগল কিছুটা কম দেখা যায়। মনে হয় পুরো আমরাইদ বাজার এলাকা যেন পশুর হাট। কাপাসিয়া উপজেলার এগারো ইউনিয়নের প্রায় প্রতি গ্রাম থেকে কৃষকেরা এখানে পশু ক্রয় বিক্রয় করতে আসে। এছাড়া পাশ্ববর্তী কালিগঞ্জ, রাণীগঞ্জ, মনোহরদী, চালাকচর, শিবপুর, পাগলা, বরমী, গোসিংগা, পাকুন্দিয়া, গফরগাঁওসহ বিভিন্ন স্থান থেকে পশুর ক্রয় করতে আমরাইদ বাজারে আসতে দেখা গেছে। গাজীপুর, কালিয়াকৈর, টংগী, উত্তরা, চন্দ্রা, সাভার, আবদুল্লাহপুর, গুলশান ও তাঁর আশপাশের মানুষকে আমরাইদ বাজার থেকে ট্রাক, পিকআপ, নছিমন-করিমন নিয়ে কোরবানীর জন্য পশু কিনতে চলে আসতে দেখা যায়।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য কামরুল মাসুদ বিপ্লব বলেন, আমি আমরাইদ বাজার থেকে গরু কিনে বসুন্ধরা গেইট মামার কাছে পাঠাব। স্থানীয় কৃষক শুক্কর আলী বলেন, তিনটি গরু বিক্রির জন্য আমারইদ হাটে উঠাবো। ঢাকা উত্তর খান গ্রামের জাকির হোসেন বলেন, আমার বাবা গ্রাম থেকে গরু কিনে এনে কোরবানী দিতো। আমিও সেই ধারাবাহিকতা রাখতে চেষ্টা করছি।গরুর পাইকার আতাউর রহমান, ছনু মিয়া, লিয়াকত আলী জানান, আমরা পাকুন্দিয়া এলাকা থেকে পশু কিনে আমরাইদ বাজারে বিক্রি করি।
আমরাইদ বাজার ব্যবসায়ী সমিতি সাধারণ সম্পাদক সরাফত মোল্লা জানান, এটা ঢাকা উত্তরের সবচেযে বড় পশুর হাট। এতো বড় হাট এখন খুব কমই দেখা যায়। এ বাজারে প্রতিদিন হাজার হাজার পশু ক্রয় বিক্রয় হয়।
স্থানীয় বেলাশী গ্রামের বাসিন্দা আশরাফ হোসেন বলেন, বাজারের শৃংখলা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্যোগ নিলে সবার উপকার হবে। তা না হলে বাজার ও তাঁর আশ পাশে মারাত্বক যানজট লেগে থাকে। এতে যাত্রীরা বেশ অসুবিধায় পড়েন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্বা আব্দুল হাই জানান, এ পশুর হাটে শৃংখলা বজায় থাকে এবং ক্রেতা বিক্রেতা কোন রকম হয়রানির শিকার হয় না। ব্যবসায়ী ও ক্রেতা কম মূল্যে ইজারা দিয়ে পশু ক্রয় করতে পারে।
আমরাইদ বাজার ইজারাদার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গত বাজারে প্রচুর পশু ক্রয় বিক্রয় হয়েছে। আমি সন্তোষ্ট। আজ শুক্রবার থেকে আবার বাজার জমবে। ঈদ উপলক্ষে বাজারের নিরাপত্তা রক্ষায় গ্রাম পুলিশের ব্যবস্থা করেছি। গরুর ইজারা তিনশ টাকা, ছাগল একশ বিশ টাকা ও মহিষ চারশ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
Comments are Closed