Main Menu

গাজীপুর সিটিতে জাহাঙ্গীর আলম ২ লাখ ভোট বেশী পেয়ে বিজয়ী

মঞ্জুর হোসেন মিলন, গাজীপুর: গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে  বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগ  দলীয় মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম ২ লাখের বেশী ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়ে এলাকাবাসীকে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ দিয়েছেন।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪২৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪১৬টি কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম ( নৌকা) পেয়েছেন ৪ লাখ ১০  ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার (ধানের শীষ)   পেয়েছেন ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬১১ ভোট। ভোটের ব্যবধান ২ লাখ ২ হাজার ৩৯৯  ভোট।

গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৭ জন। এর মধ্যে প্রদত্ত ভোট ৬ লাখ ৪৮ হাজার ৭৪৯ ভোট। ভোট বাতিল হয়েছে ১৮ হাজার ৬৩৮টি। ৬ লাখ ৩০ হাজার ১১১ ভোটার ভোট প্রদান করেন।

গাজীপুর জেলা শহরের বঙ্গতাজ অডিটোয়িামে স্থাপিত সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে বুধবার সকালে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মন্ডল।

গাজীপুর শহরের বঙ্গতাজ অডিটোয়িামে স্থাপিত রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে ফলাফল ঘোষণার সময় মঙ্গলবার দুপুরে জাহাঙ্গীর আলম  উপস্থিত হয়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে ফলাফলের একটি শীট বুঝে নেন এবং সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সর্বোপরি আমি এলাকাবাসীকে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ দিতে চাই। তারা আমাকে তাদের সন্তান মনে করে, কাজ করার মানুষ মনে করে, বিশ্বাস করে তারা আমাকে এত বড় একটা দায়িত্ব দিয়েছেন। সেটা যেন আমার ঈমানের সহিত সততা, দক্ষতা এবং আদর্শের মধ্যে থেকে দায়িত্বটা পালন করতে পারি। এত দিন আমি মানুষের কাছে গিয়েছি ভোট চাওয়ার জন্য। এখন আমাকে মানুষের কাছে যেতে হবে কাজের জন্য। কাজটা যেন করতে পারি এর জন্য আমি সৃষ্টিকর্তা এবং সবার কাছে দোয়া ও সহযোগিতা চাই। সবার সহযোগিতা এবং দোয়া নিয়ে বাসযোগ্য শহর করতে চাই। সেই জন্য আমি সবাইকে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ দিয়েছি, আমাকে এবং নৌকাকে ভোট দেওয়ার জন্য।’

তিনি বলেন, ‘গাজীপুরের মানুষ যানজট, জলাবদ্ধতা, ময়লা-আবর্জনার মধ্যে আছে। তাই বলেছি, আমাকে ও নৌকাকে ভোট দেন। আমি আপনাদেরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দিতে চাই। সিটি করপোরেশন নিয়ে আমার একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা আছে। এটা নিয়ে সবার সাথে পরামর্শ করে কাজটা করতে চাই। সিনিয়র সবার কাছে সহযোগিতা চাই।’

আপনার যারা প্রতিপক্ষ ছিল তাদের কীভাবে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চান, তাদেরকে পাশে পেতে চান কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘অবশ্যই আমি পাশে পেতে চাই। আমি যা চিন্তা করেছি তা নিয়ে তাদের সাথে আলোচনা করব। আমি চাই কাজের স্বার্থে, ভবিষ্যৎ বংশধরদের স্বার্থে, পরিচ্ছন্ন নগরীর স্বার্থে তারা যেন আমাকে সহযোগিতা করেন।’






Comments are Closed