জাতীয় ঐকের নামে সহিংসতা হলে কঠিন জবাব দেয়া হবে —– সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
গাজীপুর প্রতিনিধি (সাইদুল ইসলাম রনি): ‘বিএনপি জাতীয় ঐকের আন্দোলনের নামে আবারও সহিংসতার দিকে পা বাড়ায় তাহলে দেশের জনগণকে নিয়ে আমরা কঠিনভাবে সমোলচিত জবাব দেব। এ পরিস্থিতি মোকাবেলা করবো। বিএনপি নেতাদের সংশ্লিষ্ট যারা আজকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে যারা দেশে একটা অস্থিতিশীল নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চান তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। বাংলাদেশে ২০১৪ সাল থেকে ২০০১ সাল আর ফিরে আসবে না। সে খোয়াব দেখলে সে খোয়াব অচিরেই তাদের করপুরের মতো উরে যাবে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুরের সড়ক পরিস্থিতি দেখতে এসে ভোগড়া বাইপাস মোড়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিরোধী দলের কাজই হচ্ছে সমালোচনা করা। বিরোধী দল যখন আছে, সমালোচনা হবে। সংবিধান অনুযায়ী সরকার দেশ চালাবে। সংবিধানের বাইরে আমরা কোথায় অবস্থান নিয়েছি সেটা তাদের পরিস্কার করে বলতে হবে। নির্বাচন হবে সেটা সংবিধানের মধ্যে দিয়ে। তারা আন্দোলন করবে কেন আমি জানিনা। এ মূহুর্তে আন্দোলনের কোন প্রয়োজনীয়তা নেই। দেশে একটা স্বস্থিদায়ক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নির্বাচন সামনে। জনগণ ইলেকশনের মুডে আছে। ভোটের মুডে আছে। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ অথবা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে যদি নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে তাহলে আমাদের হাতে দুই মাসের মতো সময় আছে। এখন যারা হেরে যাওয়ার আশংকায়, নির্বাচন থেকে সরে আসার নানা অজুহাত খুজে বেড়াচ্ছে তাদের ব্যাপার আলাদা। তারা মনে করেছে ২০১৪ সালের মতো দেশে একটা সহিংসতার বাতাবরণ তারা তৈরী করবে। কিন্তু সে সহিংস আন্দোলনও তাদেরকে কিছু দেইনি। বরং তারা জনগনের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। জনগণের কোন সাড়া তারা গত ৯ বছরে পায়নি।২০১৪ সাল থেকে গত চার বছরেও বিএনপির আন্দোলনে জনগণ সাড়া দেয়নি। কারণ মানুষ মনে করে বিএনপির আন্দোলন মানেই হচ্ছে আগুন সন্ত্রাস। যে আগুন সন্ত্রাস, বোমা সন্ত্রাস, মানুষ পুড়িয়ে মারা সরকারি অফিস পুড়িয়ে ফেলা, স্কুল পুড়িয়ে ফেলা, রাস্তার গাছ কেটে ফেলা, ট্রেনের ফিসপ্লেট উড়িয়ে দেয়া এটা হচ্ছে বিএনপির আন্দোলন। কাজেই গত চার বছরে তাদের গণতন্ত্র রক্ষার নামে বোমা সন্ত্রাসের রাজনীতি ব্যর্থ হওয়ার পর জনগণ তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। যে কারণে তারা এখন নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন বলেও যদি আন্দোলনের ডাক দেয় গত চার বছরে দেখলাম একটা ডাকেও জনগণ সাড়া দেয়নি।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর, বয়কটের পর পাবলিক তাদের ডাকে সাড়া না দেয়ার অর্থই হচ্ছে জনগণ নির্বাচিত সরকারকে সমর্থন করে এবং নির্বাচিত সরকারের উন্নয়ন অর্জন জনগণকে খুশি করেছে। শেখ হাসিনা সৎ, পরিশ্রমি নেতৃত্ব জনগণ আস্থায় নিয়েছে। যে কারণে বিএনপির আন্দোলনে জনগণের কোন সায় নেই।’
তিনি বলেন, ইজিবাইক, বেটারী চালিত রিকশা রাস্তায় জায়গায় জায়গায় গর্ত, বিআরটি কর্তৃপক্ষের দুই পিডির গাফিলতি আছে। সড়কের ছোট ছোট সমস্যাগুলো সমাধান করা যেত। পরে মন্ত্রী সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।
Comments are Closed