Main Menu

গাজীপুরে অটোচালক রবিউল হত্যার রহস্য তিন বছর পর উদ্ঘাটন

আমাদের গাজীপুর রিপোর্ট: গাজীপুর নগরীর পূবাইলে অটোরিক্সার চালক রবিউলকে জুসের সাথে নেশা জাতীয় ঔষধ খাওয়ানোর পর অজ্ঞান অবস্থায় রাস্তার পাশে ডোবায় ফেলে অটোরিক্সা নিয়ে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারী চক্র। অটো চালককে হত্যার তিন বছর পর মো: স্বপন(২৮) এক আসামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন(পিবিআই)। গ্রেতারকৃত আসামী মোঃ স্বপন কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর থানার গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের পুত্র। তাকে টঙ্গী-পূর্ব থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৪ মার্চ তালুটিয়া এলাকার বাসিন্দা অটোরিক্সা চালক ভিকটিম রবিউল প্রতিদিনের ন্যায় অটো নিয়ে বের হন। ঐ দিন রাত ৯টার দিকে বাজার নিয়ে বাসায় এসে পুনরায় অটো চালাতে বের হয়ে যান। ছিনতাইকারী চক্র উলুখোলা যাওয়ার কথা বলে ভাড়া করে রাস্তায় নেশা জাতীয় জুস খাইয়ে হত্যার পর অটো নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পূবাইল বিন্দান এলাকায় খালের পানিতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির লাশ ভাসমান অবস্থায় পূবাইল থানা পুলিশ উদ্ধার করে। সংবাদ পেয়ে পূবাইল থানায় এসে স্বজনরা লাশ সনাক্ত করেন। এঘটনায় স্ত্রী মোসাঃ মরিয়ম বেগম বাদী হয়ে পূবাইল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি পূবাইল থানা পুলিশ প্রায় ৫ মাস তদন্ত করে রহস্য উদঘাটন করতে না পারায় পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে মামলার তদন্তভার পিবিআই গাজীপুর জেলার উপর অর্পন করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিঃ) মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, ২০১৯ সালের ২৪ মার্চ অটোরিক্সার ড্রাইভার রবিউলকে জুসের সাথে নেশা জাতীয় ঔষধ মিশিয়ে খাওয়ায় এবং উক্ত জুস খাওয়ানোর পর অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে দিয়ে অটো নিয়ে আসামীরা পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ স্বপন স্বীকার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন। পরবর্তীতে ভিকটিম অটো নিয়ে আসামীদের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আসামীগণ ভিকটিমের অটোটি ভাড়া করেন এবং ভিকটিমের দুই পাশের্^ দুই জন ও পিছনে তিন জন বসে। এরপর আসামীগণ ভিকটিমের অটো ভাড়া করে মিরেরবাজার থেকে উলুখোলার দিকে যাওয়ার পথে কিছুদুর যাওয়ার পর একটি দোকানের পাশে অটোরিক্সা থামিয়ে জুস কিনে তারা নিজেরা খায় এবং ভিকটিমকে কৌশলে জুসের সাথে অজ্ঞান করার ঔষধ মিশিয়ে খাওয়ায়। পরবর্তীতে ওখান থেকে আরো কিছুদুর যাওয়ার পর ভিকটিম অজ্ঞান হয়ে পড়লে আসামীদের মধ্য থেকে একজন অটো চালকের আসনে ভিকটিমকে পাশে বসিয়ে অটো চালাতে থাকে। এরপর কিছুদুর যাওয়ার পর নির্জন স্থানে অজ্ঞান অবস্থায় ভিকটিমকে ডোবার মধ্যে ফেলে দিয়ে অটো নিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে ঘটনার দিনই উক্ত অটো বিক্রি করে বিক্রয়কৃত টাকা ভাগাভাগী করে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে পিবিআই পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বলেন, মামলার গ্রেফতারকৃত আসামী তার সহযোগীদের নিয়ে অটোরিক্সার ড্রাইভার রবিউলকে জুসের সাথে নেশা জাতীয় ঔষধ মিশিয়ে খাওয়ায় এবং উক্ত জুস খাওয়ানোর পর অজ্ঞান অবস্থায় মিরের বাজার টু গাউছিয়া রোডের বাম পাশে বিন্দান নামক স্থানে জহিরুলের দোকানে পিছনে কচুরী পানার মধ্যে ডোবার পানিতে অটোরিক্সার ড্রাইভার ভিকটিম রবিউলকে ফেলে দিয়ে অটোরিক্সা নিয়ে চলে যায় এবং আসামীরা অটোরিক্সা নিয়ে বিক্রি করে টাকা ভাগাভাগী করে নিয়ে যায়। আসামী মোঃ স্বপন আদালতে নিজেকে জড়িয়ে মামলার ঘটনার সাথে জড়িত অপর আসামীদের নাম উল্লেখ করে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।






Comments are Closed