Main Menu

কালিয়াকৈরে সমিতি পরিচালকের অগ্নিদগ্ধ হয়ে রহস্যজনক মৃত্যু, গ্রাহকদের মধ্যে উত্তেজনা

আলমগীর হোসেন, প্রতিনিধি, কালিয়াকৈর (গাজীপুর) ঃ গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার হরিণহাটি এলাকার দুর্জয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর এক কর্মকর্তার রহস্যজনক মৃত্যু। ঘটনায় সমিতির কয়েক হাজার গ্রাহক বিপাকে পড়েছেন। মৃত্যু সংবাদ পেয়ে সোমবার দুপুরে সমিতির গ্রাহকরা অবস্থান কর্মসূচী পালন করে। সমিতির বাকী পরিচালকরা গা ডাকা দিয়েছেন।

সমিতিরি গ্রাহকরা জানায়, উপজেলার হরিণহাটি এলাকার এ্যাপেক্স ফুটওয়ার লিমিটেড কারখানার কয়েকজন কর্মকর্তা একটি সমিতি তৈরি করে কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের সদস্য করে। তারা প্রত্যেক সদস্যরা ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা সঞ্চয় জমা করে। ওই সমিতিতে প্রায় ৪ হাজার সদস্য কয়েক কোটি টাকা সঞ্চয় করে বলেও স্থানীয়রা জানান। গত বৃহস্পতিবার ভোরে ওই সমিতির পরিচালক মো. হুমায়ূন কবির (৫৫) তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে অগ্নিকান্ডে দগ্ধ হন। ঘটনার ৪দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায় হুমায়ূন। তার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে সঞ্চয়ের টাকার জন্য ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে জমায়েত হয় সমিতির গ্রাহকরা। সমিতির বাকী কর্মকর্তারা গা ডাকা দিয়েছেন।
গ্রাহক আখি, মাজেদা, সেলিনা, মিম, রাসিদা, হাজেরা, শরীফা ও মাজেদা পাশ বই হাতে নিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। তারা  বলেন আমাদের শেষ সম্বল হারিয়ে আমরা নিঃস্ব হয়ে পরেছি। আমরা আমাদের টাকা ফেরত চাই।
ঘটনা সূত্রে জানাযায়, সমতির পরিচালক মৃত. হুমায়ুন ও তার ভাইরা ফিরোজ প্রতি মাসে গ্রাহকদের কাছ থেকে ডিপিএস ও সঞ্চয়ের টাকা জমা নিত। জমাকৃত ওই টাকার মেয়াদ পাঁচ বছর পূর্ন হলে দিগুন হিসেবে ফেরত দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছিলেন হুমায়ুন ও তার ভাইরা ফিরোজ।
Kaliakair Pic (2)

এছাড়াও গ্রাহকদের মধ্যে অনেকেই অভিযোগ করে জানিয়েছেন, এ্যাপেক্স ফুটওয়ার লিঃ এর টেনারী সেকশনের এ্যাডমিন জাহিদ হোসেন এর সহযোগীতায় তার সেকশনের কর্মকর্তা হুমায়ুনসহ আরো কয়েকজন কর্মকর্তা বহুদিন ধরেই সমবায়ের নামে অবৈধভাবে বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ করার নিমিত্তে এ ধরনের প্রক্রিয়া চালিয়ে আসছিল। এ ঘটনার কিছুদিন আগেও ওই কর্মকর্তার সেকশনের বিশ্বাস পাড়া এলাকার অপু নামের আরেক ব্যক্তি একই ভাবে গ্রাহকের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে। পরে গ্রাহকরা অপু নামের ওই কর্মকর্তাকে টাকার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ দিতে থাকলে এ্যাডমিন জাহিদ তাকে নিরাপদে রাখার জন্য কারখানার ভেতরে কোয়াটারে থাকার ব্যবস্থা করে দেন।
কালিয়াকৈর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা তাহমিনা খাতুন জানান, সমিতিটি ২০১২ সালে রেজিঃ নিলেও পরবর্তীতে তা অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে।






Comments are Closed