কাপাসিয়ায় শীতলক্ষা নদী থেকে লাশ উদ্ধার ও ৪ ডাকাত গ্রেফতার
কাপাসিয়ায়(গাজীপুর) প্রতিনিধি(সাইদুল ইসলাম রনি): কাপাসিয়ায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে ৪ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে কাপাসিয়া থানা পুলিশ। ডাকাতদের কাছ থেকে একটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়। শনিবার ডাকাতদের গাজীপুর আদালতে আদালতে পাঠানো হয়।
গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলো লালমনিরহাটের রেজাউল (৪৫), গাইবন্ধা জেলার পলাশবাড়ীর ফিরোজ (২৪), রংপুর জেলার পীরগঞ্জের সাবু এরশাদ (২৬) এবং কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুরের ফারুক (৩৫)।
কাপাসিয়া থানার পুলিশ পুরদির্শক (তদন্ত) মনিরুজ্জামান খান জানান, চলতি বছরের গত ১৯ আগস্ট কাপাসিয়া থানাধীন ভূবনেরচালা এলাকায় কাপাসিয়া-রাজেন্দ্রপুর সড়কে ডাকাতরা অন্য একটি পিকআপ দিয়ে ৪টি কোরবানী গরু ভর্তি একটি পিকআপ আটক করে। পরে গাড়ির ড্রাইভারসহ ২ জন গরু ব্যাবসায়ীর হাত-পা বেঁধে মারধর করে নগদ ৮৫ হাজার টাকা, ২ টি মোবাইল, ৪ গরুসহ পিকআপ ডাকাতি করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর দেশের রংপুর, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, সাভার, আশুলিয়া, বাজিতপুর, কিশোরগঞ্জসহ উত্তর বঙ্গে গত ১৫ দিন অভিযান চালানো হয়।
গত ২ নভেম্বর গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকা থেকে ৩ ডাকাতসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত পিকআপ ও কিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়। শনিবার ডাকাতদের গাজীপুর আদালতে হাজির করা হলে আদালতে স্বীকারোক্তিতে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়।
কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক জানান, থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে এসআই সুমন আহমেদ, এসআই রাসেল কবির, এএসআই রাজিব, কনস্টেবল রাসেল, আনসার শুধাংশু, দিপংকর দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় ডাকাতচক্রটিকে সনাক্ত করে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।
উপজেলার টোক ইউনিয়ন পরিষদের সামনে শীতলক্ষা নদী থেকে ৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় এক অজ্ঞাত যুবকের (৩৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
টোক তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই শফিকুল ইসলাম জানান, শীতলক্ষা নদীর টোক পরিষদের সামনে সড়ক ও জনপথ এর ড্রেজারের লোকজন ভাসমান লাশ থেকে পুলিশ কে খবর দেয়। আমরা লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর পক্রিয়া চলছে। তার পড়নে ছিল পেন্ট ও গেঞ্জি আনুমানিক বয়স ৩৫। গাঁয়ের চামড়ায় পঁচন ধরেছে।
Comments are Closed